

পরবর্তীতে ডিস্ট্রিক্ট গভর্ণর ইলেক্ট লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম আতাউর রহমান পীর এর পরিচিতি ও জীবনী নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় যাতে উপস্থাপনা করেন তার সুযোগ্য পুত্র রুমেল এম এস পীর ও ইনকামিং ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারী রোটারিয়ান পিপি নিরেশ চন্দ্র দাশ। ডিজিই এম আতাউর রহমান পীর তার বক্তৃতায় ২০১৯-২০ রোটাবর্ষের গোল, ভিশন ও মিশন নিয়ে তার সম্পাদিত সুভ্যেনির ‘অভিযাত্রা’ তে তা সম্পূর্ন তুলে ধরেন এবং ডিজিটাল প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে উপস্থিত সকলের সামনে সুভ্যেনির ‘অভিযাত্রা’ নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় থাকে সহায়তা করেন রুমেল এম এস পীর।
২০১৯-২০ রোটাবর্ষের গভর্ণর এর লক্ষ্যগুলো হচ্ছে সিলেটে একটি রোটারী অরফেনেজ প্রতিষ্ঠা করা, ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮২ এর অন্তর্গত ৭ টি জোনে ৭ টি এম্বুলেন্স প্রদান, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য তহবিল গঠন ইত্যাদি। এ ছাড়াও তিনি আগামী রোটাবর্ষে বিভিন্ন ক্লাবকে যে গোল দিয়েছেন তার মধ্যে প্রতিটি ক্লাব অন্তত একটি করে বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র চালু করতে হবে, প্রতিটি ক্লাব অন্তত একটি সেনিটারী প্রজেক্ট করতে হবে, অন্তত একজন ছাত্রের এক বছরের পড়াশুনার সম্পূর্ণ খরচ বহন করতে হবে ইত্যাদি।
এই সুভ্যেনিরে ২০১৯-২০ এর রোটাবর্ষের গোল, ভিশন ও মিশনসহ রোটারী ক্লাবের বাই-ল এরিয়া অফ ফোকাস, স্ট্রেটেজিক প্লান, বিভিন্ন কমিটির দায়িত্ব এওয়ার্ড পারটিসিপেশন এর তথ্যাবলি, ক্লাব ট্রেইনারের দ্বায়িত্ব, ক্লাব প্রেসিডেন্টের দ্বায়িত্বসহ রোটারীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। ডিজিই তার বক্তব্যের শেষ দিকে বলেন, গভর্ণর ট্রেনিং শেষ করে আসার পর তিনি ২০১৯-২০ রোটাবর্ষের ডিস্ট্রিক্ট কমিটি ঘোষণা করবেন। উপস্থিত অতিথিবৃন্দের বক্তব্য শেষে রোটারিয়ান আব্দুস সামাদ নজরুল, রোটারিয়ান কামরুল ইসলাম, রোটারিয়ান নাজিম উদ্দিন, রোটারিয়ান শামীম আহছান, রোটারিয়ান তাহমিনা বেগম গিনি, রোটারিয়ান আতাউর রহমান মিলনসহ বিভিন্ন ক্লাব প্রেসিডেন্ট, পাস্ট প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে অতিথিবৃন্দ লটারি বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার সামগ্রী তুলে দেন এবং প্রোগ্রাম চেয়ার সেলিম খান উপস্থিত সবাইকে রাতের খাবারের আমন্ত্রণ জানান, সকলের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ডিস্ট্রিক্ট গভর্ণর ইলেক্ট লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম আতাউর রহমান পীর।